আজ মঙ্গলবার, ২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অভাবী মানুষের পাশে র‌্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক
শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে র‌্যাব-১১। র‌্যাব তাদের নিজস্ব গোয়েন্দাদের দিয়ে খোঁজ নিয়ে প্রতি রাতে নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় প্রকৃত অভাবী মানুষগুলোর মধ্যে ত্রাণসামগ্রীগুলো পৌঁছে দিয়েছে। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, নিত্যপ্রাজনীয় জিনিসসহ শিশুখাদ্য ।
জানা যায়, গত ৮ এপ্রিল থেকে ১১ মে পর্যন্ত তারা সাড়ে ৬ হাজার পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দিয়েছে। এক পরিবরের জন্য খাদ্যসহায়তার প্যাকেটে ছিল চাল, পেঁয়াজ, তেল, আলু, ডাল, ছোলা, মুড়ি, লবণ, চিনি, সাবান। এ ছাড়া ১৭২ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পরিবারকে খাদ্যসহায়তার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৭৩০টি শিশুর জন্য শিশুখাদ্য কিনতে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে তারা।
র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, নারায়ণগঞ্জ শিল্পাঞ্চল হওয়ায় এ জেলায় ভাসমান লোকের বসবাস বেশি। করোনার কারণে তারা কর্মহীন ও বেকার হয়ে পড়েছে। তাই মানবিক কারণে র‌্যাব এই উদ্যোগ নিয়েছে। ত্রাণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অভাবী এলাকা ও মানুষগুলো সম্পর্কে তাদের গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে শনাক্ত করা হয়। পরবর্তী সময়ে রাতের বেলায় ঐ এলাকার প্রকৃত অভাবী মানুষগুলোর বাড়ি বাড়ি ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়।
শিমরাইল এলাকার বাসিন্দা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী দেলোয়ার হোসেন বলেন, তাঁর চোখে আলো নেই। তাই ত্রাণের জন্য কোথাও যেতে পারেননি। র‌্যাব তাকেসহ তার মতো দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ত্রাণসামগ্রী দিয়েছে।
শহরের ভুঁইয়ারবাগ এলাকার বাসিন্দা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে মধ্যবিত্ত পরিবার। তারা কারও কাছে হাত পাততে পারছে না। আবার ত্রাণসামগ্রীর জন্য কোথাও গিয়ে লাইন ধরতে পারছে না। তবে তাদের এলাকায় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর বাড়ি বাড়ি গিয়ে রাতের বেলায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে র‌্যাব।
এ বিষয়ে র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন জানায়, সীমিত পরিসরে সামর্থ অনুযায়ী প্রকৃত অভাবগ্রস্থ মানুষকে সাহায্য করার চেষ্টা করছি। যত দিন করোনা সংকট থাকবে তত দিন তাঁদের এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।